বাসা-বাড়িতে চলতি বছরই গ্যাস সংযোগ দেয়া হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২০, ১৩:০১

দীর্ঘদিন পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে চলতি বছরের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌখিকভাবে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এখন সামগ্রিক বিষয় বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে একটি কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে আজ বুধবার (১ জুলাই) এসব তথ্য জানা গেছে।
বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ চালুর বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেছেন, বিচার-বিশ্লেষণ চলছে- কী আছে, কী লাগবে, কী দিতে হবে, কী পরিমাণ আবেদন পেন্ডিং আছে। এগুলো নিয়ে আমরা এক্সারসাইজ করছি। এরপর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে যাব।
তিনি বলেন, অনেকে বেশ কয়েক বছর আগে ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছিল, এমন একটা ক্যাটাগরি আছে। কিছু আছে ডিমান্ড ইস্যু করা হয়েছিল কিন্তু টাকা জমা হয়নি, কিছু অ্যাপ্লিকেশন ছিল, কিছু আছে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে যাচ্ছে। এই চার ক্যাটাগরিতে কী সংখ্যক আছে, হয়তো ১০ শতাংশ কম-বেশি হবে।
তিনি আরো বলেন, এর সাথে আমাদের পজিশন কী, এই চার ক্যাটাগরিতে সংযোগের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ গ্যাস লাগবে, কতজনকে আমরা সংযোগ দিতে পারব, কী পরিমাণ গ্যাসের সংস্থান আমাদের আছে। এগুলো বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিকে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিকেও নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মে আবাসিকে সংযোগ দেয়া শুরু হলেও কিছুদিন পর তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়।
আর সারাদেশে ছয়টি সরকারি কোম্পানি গ্যাস বিতরণ করে থাকে। এগুলো হলো- তিতাস, কর্ণফুলী, পশ্চিমাঞ্চল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও সুন্দরবন।
সিনিয়র সচিব বলেন, গ্যাস সংযোগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা মোকদ্দমাও হয়েছিল, এ বিষয়ে অর্ডারও আছে। সবকিছু নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তারপর এগোব কীভাবে কি করা যায়।
তিনি বলেন, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা তার সাথে আলোচনা করেছি, সবকিছু বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করে প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন আনতে হবে। আমরা আশা করছি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। দ্রুত কিছু করার চেষ্টা করব যাতে কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু করা যায়।