মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা লিখে এক রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক যুগল। এমনকি ক্ষুদে বার্তায় মৃত্যুর পরে তাদের দু’জনকে এক কবরে সমাধীস্থ করার অনুরোধও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) গভীর রাতে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ইন্দুরকানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

ওই গ্রামের খোকন রায় নামক জনৈক ব্যক্তির বাড়ির পার্শ্ববর্তী আমগাছ থেকে তাদের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া প্রেমিক যুগল হল ওই গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক সন্তানের জনক প্রিন্স (২৫) ও একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশী কিশোরী তৃষ্ণা (১৭)।

এ তথ্য নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দীন জানান, ‘মঙ্গলবার সকালে আম গাছে একই রশিতে দু’জনের মৃতদেহ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার পরবর্তী ময়না তদন্তের জন্য দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

স্থানীয় বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রিন্স ও তৃষ্ণার মধ্যে গত দু’মাস ধরে পরকিয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়ের পরিবারের মধ্যেই কলহের সৃষ্টি হয়। কেননা প্রিন্স গত আট বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের মিনু নামের এক তরুনীকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা ঘটনা। কেননা ঘটনাস্থল হতে প্রিন্সের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে একটি ক্ষুদে বার্তা খুঁজে পাওয়া গেছে।

ওই ক্ষুদে বার্তায় লেখা রয়েছে, ‘আমরা স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেছি। আমাদের মৃত্যুর পরে আমার এই মোবাইল ফোনটি যে পাবেন তার কাছে অনুরোধ আমাদের দু’জনকে যেন এক কবরে সমাধীস্থ করা হয়।’

এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, ক্ষুদে বার্তায় প্রিন্স ও তৃষ্ণা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ  পাওয়া যায়। তবে এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।