নেত্রকোনায় দাহ্য পদার্থে স্বামী দগ্ধ, স্ত্রী আটক

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২০, ১৬:১৬

নেত্রকোনার মদনে স্ত্রীর নিক্ষেপ জরা দাহ্য পদার্থে স্বামীর শরীর ঝলসে গেছে। স্বামীর নাম সুলতান মাহমুদ(৩৩) এবং স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার (৩৯)।
বুধবার (৮ জুলাই) রাতে মদন পৌরসদরের ভাড়িভেদেরা রোডে আক্কাস মাস্টারের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ সুলতান মাহমুদ টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। দীর্ঘ দিন ধরে সে মদন সোনালী ব্যাংক শাখায় সিনিয়র অফিসার(ক্যাশ) পদে কর্মরত আছেন।
দগ্ধ স্বামীকে মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে আটক করে বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে মদন থানার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ মদন সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত অবস্থায় তার স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে নিয়ে মদন পৌরসদর এলাকায় আক্কাস মাস্টারের বাসায় ভাড়া থাকেন। পারিবারিক কলহে জের ধরে বুধবার রাতে স্ত্রী নাসিমা তার ওপর ধার্য্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এ অবস্থা দেখে বাড়ীর মালিক মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ সুলতান মাহমুদ কে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার অবস্থা অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার স্ত্রী নাসিমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার আটককৃত নাসিমাকে নেত্রকোনার কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, সুলতান মাহমুদের শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করায় ত্রিশ শতাংশ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মদন থানার এস আই দেবাশীষ চন্দ্র দত্ত জানান, বুধবার রাতে এ ঘটনার খবর শুনে সুলতান মাহমুদকে উদ্ধার করে চিকিৎকসার জন্য পাঠানো হয়। রাতেই তার স্ত্রী নাসিমাকে আটক করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে ১৫৪ ধারা নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।