
মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ রাখার অপরাধে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত লাজ ফার্মার ফ্রাঞ্চাইজিকে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৩ জুলাই) বিকালে ওই ওষুধের দোকানে অভিযান চালায় র্যাব-৩ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় দোকান থেকে প্রায় ৮০ ধরনের অনুমোদনহীন বিদেশি ওষুধ এবং ২০ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু।
তিনি বলেন, দোকানটির মালিক আব্দুস সাত্তার মোহাম্মদ। কিন্তু তাকে দোকানে পাওয়া যায়নি। তারা কোনো বৈধ ড্রাগ লাইসেন্সও দেখাতে পারেনি। একটি ড্রাগ লাইসেন্স দেখানো হয়েছে, কিন্তু সেটির মেয়াদ ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে শেষ হয়েছে।
যেসব ওষুধ জব্দ করা হয়েছে সেসব ওষুধের অনুমানিক মূল্য ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা বলেও জানান পলাশ বসু।
পলাশ বসু জানান, এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের পাঁচজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা এবং দুইজনকে দুই লাখ করে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তিন মাসে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লাজ ফার্মার মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দোকানে কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকতে পারে। তবে আমাদের এখানে কেউ ওষুধ কিনতে আসলে প্রেসক্রিপশন দেখে একজন সেলসম্যান ওষুধগুলো সংগ্রহ করার পর আরেকজন মিলিয়ে দেখেন ঠিক আছে কি না। কোনো ওষুধের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তা গ্রাহককে দেয়া হয় না। পরে আমরা কোম্পানিকে ফিরিয়ে দিয়ে নতুন ওষুধ নিয়ে থাকি।
অনুমোদনহীন ওষুধ বৈধভাবে আমদানি করে থাকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনুমোদনহীন যেসব ওষুধের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো কিছু জীবন রক্ষাকারী ওষুধ রাখতে হয়। কেউ বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে আসার পর তার দরকার হয়, আবার অনেক চিকিৎসক এসব ওষুধ লিখে থাকেন। এগুলো আমরা বৈধভাবে আমদানি করা কোম্পানির কাছ থেকে কাগজপত্র দেখে কিনে থাকি।