সুপারির বাম্পার ফলনেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক

প্রতিনিধি, পিরোজপুর
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১৭
-5d9da5a200f51.jpg)
পিরোজপুরে এ বছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে জমজমাট চলছে সুপারি বেচা-কেনা।
তবে চাষিদের অভিযোগ, বিদেশি সুপারি আমদানি করায় দেশীয় সুপারির দাম কমে যাচ্ছে। তাই ফলন ভালো হলেও ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
দেশে সুপারির অন্যতম উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের সুপরিচিত জেলা পিরোজপুর । এক সময় দেশে উৎপাদিত সুপারির বড় অংশ পিরোজপুর সদর উপজেলার চলিশা বাজারে বেচা-কেনা হতো। বর্তমানে জেলার গাজিরহুলা, চৌরাস্তা, তালুকদারহাট, মিয়ারহাট, ধাবড়ী, নতুনবাজার, কেউন্দিয়া ও চলিশা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ছোট বড় হাটে বেশি সুপারি কেনা-বেচা হয়। এ সকল হাটে সারা বছরই সুপারি কেনা-বেচা চলে।
তবে শুকনো সুপারির পিক মৌসুম ফাল্গুন থেকে আষাঢ় পর্যন্ত এবং পাকা সুপারির পিক মৌসুম শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত। এ সময় বেশিরভাগ সুপারি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। আবার বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও এখানে আসেন সুপারি কিনতে।
সুপারিচাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর এই মৌসুমে বিভিন্ন হাট থেকে সুপারি কিনে মজুদ করে রাখে। শুকিয়ে ও পানিতে ভিজিয়ে সুপারি সংরক্ষণ করা হয়। পরে তা দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ সুপারি এলসির মাধ্যমে ভারতসহ ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, ফলন ভালো হলেও ন্যায্য দাম পান না চাষিরা। তাই সরকারের কাছে বিদেশি সুপারি আমদানি বন্ধ করে দেশের সুপারির বেশি রপ্তানি করার চাষিদের দাবি জানান।
শুকনো সুপারি সাধারণত ফাল্গুন মাস থেকে বিক্রি শুরু হয়ে আষাঢ় মাস পর্যন্ত চলে এবং শ্রাবণ মাস থেকে কাঁচা সুপারি অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত চলে।
জেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চাষিদের পরিশ্রম, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার বেড়েছে ফলন। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপারির উৎপাদন ও বিক্রি চলবে।