দেশে করোনাভাইরাস ৫৯০ বার জিন পাল্টেছে: বিসিএসআইআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৫

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস দেশে এখন পর্যন্ত ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা।
প্রতিষ্ঠানটি ১৭১টি কেসের সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
রাজধানীর সাইন্স ল্যাবের বিসিএসআইআর কার্যালয়ে আজ রবিবার (১৯ জুলাই) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত কভিড-১৯ ভাইরাসের ৩০০ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রকল্প সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিসিএসআইআরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৭১টি কেসের সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। ভাইরাসটি প্রোটিন লেভেলে ২৭৩ বার মিউটেশন করেছে এবং ৩৮টি স্পাইক পরিবর্তন করেছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠনাটি ২২২টি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সংক্রমণের প্রধান কারণ ডি৬১৪জি করোনাভাইরাস বলেও শনাক্ত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ভাইরাসটি মানুষের শরীরের উপকারি ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন মিউটেশনের তথ্যগুলো বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করা হবে। এই তথ্য প্রতিষেধক আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। করোনাভাইরাসের সর্বমোট ৩০০টি জিনোম সিকোয়েন্স করার উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তারা।
ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ৬৭ হাজার ৫২৪ এর বেশি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স ডাটা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটায় (গ্যাসএইড) প্রকাশ করেছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১৭৩টি করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য তথ্য পাঠানো হয়েছে। এগুলো থেকে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসটি ইতালির ভাইরাসটির সাথে বেশি নিবিড়।