
রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
দুদকের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদি হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করা হয় বলে দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হচ্ছেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, এনআরবি ব্যাংকের ঢাকার কর্পোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার সোহানুর রহমান ও একই ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদ।
দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এনআরবি ব্যাংক হতে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সুদসহ ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
অভিযোগে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চলতি হিসাবটি খোলার সময় গ্রাহকের নিকট থেকে কোনো টাকা জমা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। সাহেদ এনআরবি ব্যাংকের একজন নতুন গ্রাহক। তিনি ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর হিসাবটি খোলেন। কিন্তু হিসাব খোলার একদিন আগে ১৬ নভেম্বর প্রিন্সিপাল অফিসার সোহানুর রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদ উভয়ে এসএমই ব্যাংকিং ঋণ মঞ্জুরির জন্য সুপারিশ প্রেরণ করেন। ঋণ মঞ্জুরির পূর্ব পর্যন্ত এ হিসাবে কোনো লেনদেন ছিল না।
ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। সাহেদ হাসপতাল থেকে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী এফডিআর করেছিলেন। পরবর্তীতে ঋণ গ্রহীতা সাহেদ ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক তার এ এফডিআর ক্লোজ করে ঋণ সমন্বয় করেন। এতে দেখা যায় সাহেদ স্বেচ্ছায় কখনো ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের জন্য ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের জন্য দুইটি টার্ম লোনে ২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি নিশ্চিত হয়ে এক কোটি টাকা এফডিআর করেছেন। সাহেদসহ অন্যান্যরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে এনআরবি ব্যাংক হতে দুইটি টার্ম ঋণ রিসিডিউলসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ঋণ গ্রহণ ও বিতরণ করেছেন।
এ সময়ে ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২৭ টাকা সুদ ও অন্যান্য চার্জ ধার্য করা হয়েছে। এরমধ্যে সাহেদের এফডিআর থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৯ টাকা সমন্বয় করার পর সুদসহ অবশিষ্ট ব্যাংকের ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাতের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলা করা হয়।