
দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে বিতর্কের মাঝে ঢাকায় আরো একটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ হয়।
কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স নেই এবং তদন্তে দেখা গেছে সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ চিকিৎসা সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছিল।
২০১৮ সালের ৩০ জুনের আগেই ঢাকা ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল হাসপাতালটি। লাইসেন্স নবায়ন না করা পর্যন্ত হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লেখা ওই চিঠিতে ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) ১৯৮২’ অনুযায়ী হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সাতদিনের মধ্যে তার সুস্পষ্ট জবাব দিতে বলা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১৮ জুলাই হাসপাতালটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নানাবিধ অনিয়ম পেয়েছে। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তারা কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটিতে উন্মুক্ত স্থানে মূল্য তালিকা টানানো হয়নি।
এতে আরো বলা হয়, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি দেখা গেছে। চিকিৎসক অপারেশন করলেও তাকে সহায়তা করেন ওয়ার্ডবয় ও নন-মেডিক্যাল লোকজন। হাসপাতালটির পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। বিপজ্জনকভাবে অক্সিজেন রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল। পরিদর্শনকালে আইসিইউ বন্ধ পাওয়া যায়। এমন হাসপাতাল আইসিইউ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়।