
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নে প্রতিপক্ষরা একটি ৫বিঘার পুকুরে বিষ প্রয়োগে করেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১৬ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাত ৩টার দিকে ওই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামারপাথুরিয়া গ্রামে।
এ ঘটনায় পুকুর মালিক আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ একই এলাকার মোহাম্মদ আলী বিশুর ৬ ছেলে, মোজাহিদ, রউফ, আব্দুল হাই, শফিকুল, সাইদুল, মোমিনসহ ১১ জনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামার পাথুরিয়া গ্রামের মৃত সায়েত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান তার নিজস্ব ৫বিঘার একটি পুকুরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রুই, কাতলা, সিলভার, ব্রিগেট, টেংরা, কালবাউশ এবং দেশি পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে আসছে। মাছগুলো কিছুদিন পরেই তিনি বিক্রি করতেন।
গতকাল রাত ৩ টার দিকে পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে সকালে সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাহিদ ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, মাছ নিধনের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এমন ধরনের কাজ আমরা করি নাই।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মান্নান জানান, রাত ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবেঁধে এসে বিষপ্রয়োগ করতে থাকে। এ সময় তার পুকুর পাহারাদার মানা নিষেধ করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে জীবনের ভয়ে তারা চুপ থাকে।
পরে পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যায়। আর কয়েকদিন পরেই মাছগুলো তিনি বাজারে বিক্রি করতে পারতেন বলেও জানান। এমন বড় ধরনের ক্ষতিতে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, বিষপ্রয়োগে মাছ নিধনের বিষয়ে ভুক্তভোগির এজাহার পেয়েছি।