পল্লবী থানায় বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই, দাবি পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২০, ১৩:২৮

রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, স্থানীয় একটি অপরাধীচক্র কোনো অপরাধ সংগঠনের চেষ্টা করছিল। সংবাদটির জানার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পরে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পল্লবী থানা ভবন পরিদর্শনের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি গ্রুপ ক্রাইম করতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাত ২টার দিকে কালশী কবরস্থানের দিকে পুলিশের একটি দল যায়। সেখানে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ সমবেত হয়ে ক্রাইম করার পরিকল্পনা করছে- এমন খবরে পল্লবী থানা পুলিশ সেখানে অপারেশনে গিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ও মোশারফ। সেখানে আরো কয়েকজন ছিল যারা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয় যেটি ওয়েট মেশিনের মতো।
কৃঞ্চপদ রায় বলেন, রাতেই বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট থানায় চলে আসে। তারা ওই ডিভাইসটিকে স্টাডি করে। কিছু পর্যবেক্ষণ মেশিনসহ আসার জন্য ইউনিটের অন্য সহকর্মীদের খবর দেয়। তারা যখন আরো পর্যবেক্ষণ মেশিন নিয়ে আসছিল তখন থানার ভেতর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ ঘটার পরে আমাদের চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। তারা সবাই চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরো জানান, এক্সপার্ট টিম এসে পৌঁছানোর পর তারা পুরো এলাকা সিকিউরড করে। প্রাথমিক স্তরে থেকে তারা তারা ধারণা দেয় যে আরো কিছু বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত থাকতে পারে। এরপর আরো দুটি অবিস্ফোরিত এক্সপ্লোসিভ নিষ্ক্রিয় করে থানা ভবন নিরাপদ করা হয়। আমরা এ ব্যাপারে কাজ করছি। আমরা তদন্ত করছি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম কাজ করছে। যেহেতু এখানে বোমসদৃশ জিনিস পাওয়া গেছে। সেটা আসলেই এক্সপ্লোসিভ। আমাদের তদন্ত চলছে। কেন কী কাজে এটি ব্যবহার হতে পারে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের পেছনে আর কারা সহযোগী ছিল তাদের খুঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টার বিষয়ে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যাদের আমরা গ্রেফতার করেছি তারা কোন জঙ্গি গ্রুপের সদস্য নয়। তারা কোনো না কোনো ক্রিমিনাল গ্রুপের সদস্য। ওজন মেশিনসদৃশ বস্তু যা ছিল সেটার ভেতরেই এই এক্সক্লুসিভগুলো ছিল। তারা একটি অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল। সেটা হতে পারে কাউকে খুন করার জন্য বা কোনো সম্পত্তি দখল সংক্রান্ত বা ডাকাতি করার জন্য। আমরা তদন্তের সন্তোষজনক পর্যায়ে এলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো।