
মো. সাহেদ
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মামলা করার ১২ দিনের মাথায় আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দিলো পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সাইরুল ইসলাম। মামলায় ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাহেদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র দেখেছেন আদালত। সিএমএম আদালতের আদেশের পর মামলার নথিপত্র বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে ১৫ দিনের বাধ্যবাদকতা রয়েছে, আমরা এর মধ্যেই করেছি। অস্ত্র পজিশনে পাওয়া গেলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেটা তিনি যদি ব্যবহার নাও করেন তাও অপরাধ।
তিনি বলেন, অস্ত্র মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণাদি দরকার আমরা সবকিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি এবং তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।
গত ৭ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে।
মামলা করার আটদিন পর সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন ১৬ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে অনুমতি নিয়ে ডিবি সাহেদকে নিয়ে গত ১৮ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে।
গত ২৬ জুলাই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অস্ত্র মামলায় সাহেদের ৩৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে।