বরিশালের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস। তিনদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার তিনি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে করেন।

এর মধ্যে সকাল ১০টায় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে অক্সফোর্ড মিশন গির্জা পরিদর্শন করেন ভারতের হাই হাই কমিশনার। এসময় সেখানকার গির্জার ফাদার ও সিস্টারদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তিনি।

পরে সেখানে থাকা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ অবদান রাখা ব্রিটিশ নাগরিক সুলি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন ও তার খোঁজখবর নেন।

ব্রিটিশ নাগরিক সুলি হেলেন সঙ্গে দেখা করেন রিভা গাঙ্গুলি

এছাড়া বেলা ১১টার দিকে নগরীর বগুড়া রোডস্থ কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শনে যান ভারতের হাইকমিশনার রিভা। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম। পরে পাঠাগারে কর্মরত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন ও পাঠাগার ঘুরে দেখেন।

দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার কড়াপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি মিঞা বাড়ি জামে মসজিদ পরিদর্শনে যান রিভা। সেখানেও মসজিদ সংশ্লিষ্টদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ও মসজিদ ঘুরে দেখেন।

তবে দিনভর বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজী হননি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী প্রশান্ত কুমার দাস ও খুলনায় নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না।

 অক্সফোর্ড মিশন গির্জা পরিদর্শন করেন ভারতের হাই হাই কমিশনার

এছাড়া বিকেলে বরিশাল সিটি মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে ভারতীয় হাই কমিশনারের। এরপর সন্ধ্যায় নগরীর সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার টাউন হলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন তিনি এবং রাতে নগরীর বান্দ রোডস্থ হোটেল গ্র্যান্ডপার্কের বলরুমে তাকে সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

সফরের শেষ ও তৃতীয় দিন রবিবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠি যাবেন ভারতের হাই কমিশনার। সেখানকার ভিমরুলীর ভাসমান পেয়ারা বাজার পরিদর্শন করবেন তিনি। সেখান থেকে দুপুর ১টায় পটুয়াখালী যাবেন। পরিদর্শন করবেন পায়রা সমুদ্রবন্দর।

এছাড়া বরিশালে ফিরে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র সঙ্গে তার কালিবাড়ি রোডের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে রাতেই লঞ্চ যোগে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন রিভা।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে তিনদিনের সফরে বরিশালে আসেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন চারণ কবি মুকুন্দ দাস প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দির পরিদর্শন করেন।