দাবি মায়ের
রাজনৈতিক কারণে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার সম্রাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৫৬

যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর মা মা সায়েরা খাতুন।
রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আজ রবিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন হয় তিনি এ অভিযোগ করেন। সম্রাটের ‘জীবন রক্ষা, উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির দাবিতে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্রাটের মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেয়ে ফারহানা চৌধুরী শিরিন, সঙ্গে ছিলেন ছেলে রাশেদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তারের ১০ দিন আগে থেকে অফিসে ছিলেন না সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাট। অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্য জায়গায় ছিলেন তিনি। তাই, অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক বলে দাবি করেন সম্রাটের স্বজনেরা।
লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে সায়েরা খাতুন বলেন, ‘আপনি মমতাময়ী জননী, মানবতার মা। সম্রাট আপনার কর্মী, আপনার সন্তানতুল্য সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আবেদন করছি, ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে সম্রাটকে মুক্ত করে দিন। তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিন। আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন।’
সম্রাটকে নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সম্রাটের ভাই রাশেদ চৌধুরী বলেন, তাঁর উল্লেখ করার মতো কোনো সহায়-সম্পত্তি নেই। নিয়মিত সিঙ্গাপুর যেতেন চিকিৎসার জন্য। রাজনৈতিক কারণে ব্যক্তিগত আক্রোশে গ্রেপ্তার হয়েছেন সম্রাট।
সম্রাট কার আক্রোশের শিকার? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ বলেন, যখনই সম্রাট নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘ক্যাসিনোবিরোধী’ অভিযান শুরু হলে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নামটি আলোচিত হয়। এর পর ৬ অক্টোবর ভোররাতে যুবলীগ নেতা সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হককে কুমিল্লা থেকে আটক করে র্যাব। সম্রাটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁর কার্যালয় কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, ইয়াবা বড়ি, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার দুটি যন্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।