ডা. আবুল কালাম আজাদ। ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক ও পিপিই ক্রয়ে অনিয়ম ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যাপারে তলবের জবাব দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
আজ বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে গত ৬ আগস্ট স্বাস্থ্য খাতের নানান অনিয়ম নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজাদসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘জরুরি’ তলব করে দুদক।
দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।
দুদক পরিচালক শিবলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে আবুল কালাম আজাদকে আগামী ১২ আগস্ট ও আরেক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে ১৩ আগস্ট কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
শিবলীর চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা কভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করেন। পরে এসব সামগ্রী বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য প্রয়োজন।
আর শেখ মো. ফানাফিল্যাহর চিঠিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নেয়া হয়। এই অভিযোগ তদন্তেও আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য প্রয়োজন।
একই ঘটনায় ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে আগামী ১২ আগস্ট তলব করা হয়েছে।
করোনা রোগীদের সেবা দিতে রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করা চুক্তি নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গত ২১ জুলাই মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আজাদ।