
দেশে এবার আকাশপথে ভ্রমণের খরচ বাড়লো। বাংলাদেশে থেকে বিদেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ধার্য করা বিমানবন্দর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ফি পরিশোধ করতে হবে।
আজ রবিবার (১৬ আগস্ট) নামে এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের যেকোনো বিমানবন্দর দিয়ে সার্ক-ভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ৫ ডলার ও নিরাপত্তা ফি ৬ ডলার দিতে হবে। আবার দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
অন্যদিকে সার্কভূক্ত দেশের বাইরে ভিন্ন কোনো দেশে গেলে যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ৪০ ডলার দিতে হবে।
বাংলাদেশের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের ক্ষেত্রেই নয়, দেশের ভেতরে প্লেনে যারা ভ্রমণ করবেন তাদের ক্ষেত্রেও বিমানবন্দর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ফি দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে একবার বিমানবন্দর ব্যবহার করলেই ১৭০ টাকা দিতে হবে।
তবে যাত্রীকে সরাসরি ফি পরিশোধ করতে হবে না। প্লেনের টিকিটের সঙ্গে ভ্যাট ট্যাক্স বাবদ এই ফি কেটে নেয়া হবে। ভ্রমণকারীর গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে এ ফি নির্ধারণ। দেশ হিসেবে টিকিটের মূল্য যেমন ভিন্ন, প্রায় তেমনি এ ফিও।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবছর প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। পরিচালনা ব্যয় মেটানোর জন্যই এ ফি ধার্য করা হয়েছে। ধার্যকৃত ফি থেকে সরকার প্রতিবছর ৬০০ কোটি টাকার মতো পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরণের ফি নেবার প্রচলন আছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, এই রিজিওনের ভেতরে আমরা সবচেয়ে বিলম্বে এটা কার্যকর করতে যাচ্ছি ও সবচেয়ে কম অর্থ আমরা নিতে যাচ্ছি।
তবে সরকার এ ফি ধার্য করায় অনেকে এর সমালোচনা করেছে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, বাংলাদেশে এমনিতেই বিদেশি পর্যটক অনেক কম আসে, তাই বাড়তি এই ফি বিদেধি পর্যটকদের আরো নিরুৎসাহিত করতে পারে।
এ ধরণের যুক্তি ঠিক নয় বলে মনে করেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে যারা টুরিস্ট আসবে, এতোটা ইন ডিটেইলস কারো জানারও কথা নয়। বাংলাদেশ থেকে যদি একজন যাত্রী লন্ডনে যায়, তাহলে সেও জানে না প্লেনের টিকিটের সাথে আর কী কী যুক্ত হয়।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে সেবার মান নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা লক্ষ্য করা যায়। সেবার মান উন্নয়ন না করে বাড়তি ফি ধার্য করার সমালোচনা করছেন অনেকেই।
বিমান মন্ত্রণালয় বলছে, সেবার মান বৃদ্ধির সাথে অর্থের সংস্থার করাটাও জরুরি বিষয়।