
চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক। ফলে পশ্চিমাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার কাজ সহজ হবে।
এতে ২ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি। ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহান্সমেন্ট নামে এই কর্মসূচিতে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমাঞ্চলের চারটি জেলাজুড়ে যশোর-ঝিনাইদহ করিডর ধরে বাংলাদেশকে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে। এ প্রকল্পের আওতায় এখনকার ১১০ কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ক ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হবে।
এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলে বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীল চার লেন মহাসড়কটি সরকারের ২৬০ কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত মহাসড়ক যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীর সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
এভাবে করিডর বরাবর বাণিজ্য, ট্রানজিট ও পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। সড়কের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রথম পর্যায়ে যশোর থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নীত করা হবে চার লেনে।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ বিশ্বব্যাংকের বোর্ড ইতোমধ্যেই অনুমোদন করেছে। এমনকি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে ঋণের বিষয়ে নেগোসিয়েশন (সমঝোতা) হয়ে গেছে। এখন বাকি শুধু চুক্তির। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে।