Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

‘মিথ্যা মামলা দিয়ে’ প্রবাসীর হ্যাচারি দখলের চেষ্টা

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৯

‘মিথ্যা মামলা দিয়ে’ প্রবাসীর হ্যাচারি দখলের চেষ্টা

হামলায় আহত রাজা ফিশারিজ অ্যান্ড হ্যাচারির এক কর্মী। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্রীমঙ্গলের মতিগঞ্জ এলাকার প্রয়াত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দখলচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়াত শিক্ষকের ছেলে ব্রিটিশ নাগরিক গোলাম মোরসালিন মোস্তফা সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।

তার দাবি, বাবা-মা, তিন ভাই এবং দুই বোনসহ লন্ডনে বসবাস করতেন। কিন্তু তার বাবা সদ্য প্রয়াত গোলাম মোস্তফা রাজা মাটির টানে বাংলাদেশে চলে আসেন। একপর্যায়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকায় তিনি এবং তার বাবা ‘রাজা ফিশারিজ অ্যান্ড হ্যাচারি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি মৌলভীবাজার জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

গোলাম মোরসালিন মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্প্রতি আমি লন্ডন থেকে দেশে আসি। আসার পর থেকেই আমি ও আমার ভাই-বোনের ওপর একের পর এক মিথ্যা মামলা এবং সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন বানিয়াচং এলাকার মৃত দেওয়ান গোফরান মিয়ার মেয়ে দেওয়ান নূরজাহান রানী।’

বর্তমানে গোলাম মোরসালিন মোস্তফা মালিক ও পরিচালক হিসেবে তার বাবার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখাশুনা করছেন। তিনি জানান, শুধু তাই নয় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকায় তার বাবার কেনা বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে দেওয়ান নূরজাহান রানী তার ভাইসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারিতেও হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে।

হামলার বর্ণনা দিয়ে গোলাম মোরসালিন বলেন, ‘সম্প্রতি লন্ডন থেকে আমার ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাই এসেছিলেন শ্রীমঙ্গলের ফিশারির বাসায়। কিন্তু সেই নারী হঠাৎ একদিন তার ভাইসহ অস্ত্রধারী ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ফিশারিতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ ঘটনায় ফিশারিতে কর্মরত অনেকেই আহত হয়। পরে শ্রীমঙ্গল থানায় আমরা মামলা দায়ের করি। ইতোমধ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে দেওয়ান নূরজাহান বেগমের মোবাইলে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কোনো কথা না বলেই কেটে দেন। তারপর একাধিকবার তার বক্তব্যের জন্য কল ও মেসেজ দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জান বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত চলছে।’

তবে ভুক্তভোগী যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন আর সে জন্য ইন্ডিভিজুয়ালি নিরাপত্তা চান, তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫