Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জে তিনজনকে হত্যা-ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

দেড় মাস পর জীবিত ফিরলো কিশোরী

Icon

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২০, ২২:১২

নারায়ণগঞ্জে তিনজনকে হত্যা-ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি। এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।

মামলায় জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেন। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেই।

মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায় পুলিশ। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ দিসার সাথে যোগাযোগ করতেন। ঘটনার দিন ওই নম্বর দিয়ে কল করে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

৯ আগস্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামিরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।

তবে ২৩ আগস্ট সেই জিসা মনিকে জীবিত খুঁজে পায় তার বাবা-মা। বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে জিসাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

জিসা মনির মা জানান, বন্দরের কুশিয়ারা এলাকা ইকবাল নামে একটি ছেলের সাথে গত দেড়মাস ছিলো দিসা। দিসাকে বিয়ে করে তারা সেখানে ছিলো বলে জানান তিনি।

জিসা মনি নিজেও নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় জানায়, সে নিজে প্রেম করেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তারা বন্দরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলো।

এমন ঘটনায় খোদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার  অনুরোধে বলেন, মামলা দায়েরের পর কী তদন্ত করলো তদন্ত কর্মকর্তা? কী জবাব দেবেন এই দারোগা? নিরপরাধ তিনজকে কেন জেল খাটানো হচ্ছে? একটা ধর্ষণের পর খুনের মামলায় তিনজনকেই কীভাবে স্বীকারোক্তি আদায়ের ব্যবস্থা করলো তদন্ত কর্মকর্তা?

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে এর আগে গ্রেফতারকৃত তিনজনের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫