এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
ওসি প্রদীপসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১৩
ওসি প্রদীপ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় হ্নীলা গাজীপাড়ায় একই পরিবারের তিনজন- দুইভাই ও এক ভাগিনাকে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপ, এসআই মসিউরসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৩১ আগস্ট) কক্সবাজারের হেলাল উদ্দিনের আমলী আদালতে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাসেম আলী জানান, এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে গত ৬ মে রাত ২টার দিকে ছৈয়দ আলম, নুরুল আলম ও আনছার সদস্য ছৈয়দ হোসেনকে পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করে। বাদী সুলতানা রাজিয়া মুন্নি (২২) টেকনাফ উপজেলা রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার মৃত ছৈয়দ আলমের স্ত্রী।
এ সংক্রান্ত আর কোনো মামলা আছে কিনা তদন্ত করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারক হেলাল উদ্দীন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৬ মে রাত ২টার দিকে রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার সৈয়দ আলম ও তার ভাই নূরুল আলম ও তাদের ভাগিনা আনসার সদস্য সৈয়দ হোসন প্রকাশ আবদুল মোনাফকে ওসি প্রদী কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ দাবি করেন ওসি প্রদীপ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই দিন ভোরে বন্দুকযুদ্ধের নামে একসাথে তিনজনেকই তাদের ধান খেতে ‘হত্যা করা হয়’।
এ মামলার অন্যতম আসামি পুলিশের সোর্স ৪০ মামলার পলাতক আসামি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ক্রসফায়ারে নিহত নুরুলের বসতবাড়ি ও চাষাবাদের জমি সবই দখলে নেয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাইসহ গিয়াস বাহিনীর শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে ৪০ টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে একই পরিবারের সাবের আহমেদের পুত্র সৈয়দুল আমিনকে গিয়াস বাহিনী ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর হত্যা করে। এরপর ২০১৫ সালের ২৪ মে একই পরিবারের সোনা মিয়ার পুত্র সৈয়দ নুরকে হত্যা করে গিয়াস বাহিনী।
এত মামলা থাকা সত্ত্বেও গিয়াস ও তার বাহিনীর লোকজন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে কিভাবে প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তাদের পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করছে, যে কারণে তারা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করতে সক্ষম হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, গিয়াস উদ্দিন ও তার সহযোগীদের সাথে ওসি প্রদীদের সম্পর্ক খুবই মধুর ছিল।