দেশের ১২ হাজার ৫৪৩টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানায়।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে গত ৩১ আগস্ট বর্তমানে কতগুলো হাসপাতাল কভিড ও নন-কভিড হিসেবে আছে এবং বেসরকারি হাসপাতালের কতটির লাইসেন্স আছে, কতটির লাইসেন্স নেই, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত আজ এসব তথ্য আদালতে তুলে ধরেন।  

তবে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের সংখ্যা কত- তা জানা নেই বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া কভিড ও নন কভিড হাসপাতালের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

পরে আদালত এ সংক্রান্ত রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।  আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। 

অমিত দাসগুপ্ত বলেন, আমরা জানিয়েছি, কভিড ও নন কভিড হাসপাতালের সংখ্যা ও নাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। বর্তমানে ১২ হাজার ৫৪৩টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে এবং এগুলোর নবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কোনো কোনোটির নবায়ন এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি লাইসেন্সধারী হাসপাতালগুলোর তালিকা সরকারের কাছে আছে। যেগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই, সেগুলোর তালিকা নেই। সেগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো অবহেলার ঘটনা ঘটলে, তার প্রতিকার প্রার্থনা করে স্বাস্থ্য বাতায়নে অভিযোগ দায়ের করা যায়। জনগণ যে কোনো সময় অভিযোগটি দায়ের করতে পারে। এ রিপোর্ট উপস্থাপনের শুনানি হয়েছে। এরপর আদালত এটিকে (রিট) আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন) করেছেন।   

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এ রিট দাখিল করেন। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।