প্রদীপসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আরো দুই মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৪২

মুছা আকবর (৩৫) ও সাহাব উদ্দিনসহ দুই ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযােগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে একদিনে আরাে দুটি মামলা আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ ৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে। নিহত মুছা আকবরের স্ত্রী শাহেনা আকতার ও সাহাব উদ্দীনের বড় ভাই হাফেজ আহামদ বাদী হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
একটি মামলায় হােয়াইক্যং ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমানকে প্রধান ও প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নং এবং অন্য মামলায় এসআই দীপক বিশ্বাসকে প্রধান এবং ওসি প্রদীপকে ৩ নং আসামি করে ২৭ জন ও অন্য মামলায় ২৬ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত মুছা আকরের মামলা এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হােয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গ্যা ঘােনা নিহত মুছা আতবর বড় ভাই আলী আকবরের বাড়ি পুড়িয় দেয় টেকনাফ থানার একদল পুলিশ। এই ঘটনায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২৮ মার্চ রাতে আবু মুছাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ক্রসফায়ার না দেয়া কথা বলে মুছার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু তিন লাখ দিতে সামর্থ্য হয় মুছার পরিবার । তিন লাখ টাকা নিয়েও ওই দিন ভােরে মুছা আকবরকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী রিদুয়ান আলী বলেন, ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে নিহত সাহাব উদ্দীনের মামলা এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল টেকনাফ দুপুরে এসআই দীপক বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাহাব উদ্দীনকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ক্রসফায়ার না কথা বলে তার পরিবার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু পরিবার ৫০ হাজার দেয়। আরাে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় ২০ এপ্রিল রাতে কাঞ্জরপাড়া ধানক্ষেতে ক্রসফায়ারের নামে সাহাব উদ্দীনকে গুলি হত্যা করা হয়। এই মামলা বাদী পক্ষের আইনজীবী, ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।