সাবরিনার দ্বৈত ভোটারে ভিআইপি জড়িত থাকলেও ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:১৯

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরীর দ্বৈত ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভিআইপি জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের তফসিল ঘোষণাকালে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অভিযোগ উঠেছে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের তদ্বিরে গুলশানের ঠিকানা ব্যবহার করে ডা. সাবরিনা দ্বিতীয়বার ভোটার হন এবং দ্বিতীয়বার জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
সাবরিনাকে ভোটার করার জন্য ড. মিজান নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ে সরাসরি গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য ড. মিজান বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ডা. সাবরিনা মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্গত এলাকায় প্রথম ভোটার হয়েছিলেন এর আগে। দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের, বাবা ও মায়ের নাম ভিন্ন দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বয়স ও ঠিকানাও পরিবর্তন করেন।
সাবরিনার দ্বৈত ভোটার হওয়ার তথ্য প্রথমে দুদকের কাছে এলে তারা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চান। পরে ইসি তদন্ত করে দুটি এনআইডির বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে তার এনআইডি দুটি ব্লক করার পাশাপাশি গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি।
দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়ে ইসি তদন্ত শুরু করেছে। এজন্য ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও বুয়েট এবং কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ৬ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনআইডি সার্ভারের সিকিউরিটি ফিচার অনুযায়ী, দ্বিতীয় ভোটার হতে আসলেই আঙুলের ছাপে ধরা পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে একই ব্যক্তির দুই বার ভোটার হওয়া প্রায় অসম্ভব।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ইসি সচিব বলেন, একজন নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পর তথ্য ভাণ্ডারে তার তথ্যগুলো সংরক্ষণ করা হয়। ওই তথ্য ভাণ্ডারটি নির্ভুল। প্রায় শতভাগ (৯৯.৯৯) সঠিক।
সম্প্রতি এনআইডি জালিয়াতির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় আসছে। এক্ষেত্রে ভিআইপিরা এনআইডির বিষয়ে তদবির করছেন, ইসি তাদের এ বিষয়ে জানতে চাইবে কিনা প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ভিআইপিরা তো তদবির করবেন। ভিআইপিরা জেনে, না জেনে তদবির করেন। অনেক সময় ভিআইপিদের কাছে অনেকে কার্ড চান। কিন্তু কার্ডটা যে উনি নিয়ে কোথায় লাগাবেন সেটা তো ওই ভিআইপি জানেন না। এজন্য যারা সচেতন, তারা কার্ড দেয়ার বিষয়ে সর্তক থাকেন।