দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

তিনি বর্তমানে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান ও নিউরোসার্জন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ওয়াহিদার অবস্থা ইতিবাচক, অক্সিজেন লেভেল বেড়েছে। আগে তার প্রেসারে কিছুটা সমস্যা ছিল সেটাও এখন উন্নতি হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের ফলে তার শরীরের ডানপাশটা নাড়াচাড়া করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। সেটা ঠিক হতে হয়ত একটু সময় লাগবে। এছাড়া অন্য কোনো সমস্যা এই মুহুর্তে নেই।

আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলেছি। এই ৭২ ঘণ্টা তাকে আইসিইউতে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পরে পরশু সকালে আমরা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো তাকে আইসিউতে আরো রাখা হবে কিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে।

এদিকে আজ সকালে ওয়াহিদাকে দেখতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ওয়াহিদার অবস্থা ‘ভালো’। আমার মনে হয়েছে সি ইজ গুড। এই মুহুর্তে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার প্রয়োজন নেই। তারপরও এটা মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত।

গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর উপর হামলা করে দুবৃত্ত। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।