
ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় দশম শ্রেণির ছাত্রী শাহিনা আক্তার। মোবাইল ফোনে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধে ইউএনওর সহযোগিতা চান শাহিনা আক্তার। এ নিয়ে একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউএনও সামিউল আমিনকে সাথে নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বাবা-মায়ের মুছলেকা নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ওই স্কুল ছাত্রী। এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উওর ধুবনী গ্রামে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উওর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার রাতেই হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে শনিবার রাতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন শাহিনা।
এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রবিবার ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমত শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।