নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চাইলেন পাপিয়া দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:১৭

পাপিয়া দম্পতি
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান আত্মপক্ষ সমর্থন ও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে অস্ত্র মামলায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।
এদিন বিচারক তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ১২ জনের সাক্ষ্য পড়ে শুনান। এসময় বিচারক তাদের প্রশ্ন করেন আপনারা দোষী না নির্দোষ। উত্তরে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবী করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এদিন তার জেরা শেষ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের প্রাক্কালে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
ওইদিন রাতেই পাপিয়ার নরসিংদীর বাসায় ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুইটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।