Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে এবার বোনের অভিযোগ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৩৫

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে এবার বোনের অভিযোগ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বরখাস্ত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে এবার তার বোন দুদকে অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ তথ্য জানান। 

কোটি টাকার সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগটি অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। 

রিয়াজ উদ্দিন জানান, টেকনাফে সাবেক সেনা কর্মকর্তা হত্যার অন্যতম আসামি ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তার সৎ বোন রত্নাবালা প্রজাপতি মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত অঞ্চল, চট্টগ্রাম-১ এর কার্যালয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, প্রদীপ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর মোহাম্মদপুর এলাকায় রত্নাবালার ১২ শতক জমি ও একটি চার তলা ভবন দখল করে নেয়। এর মধ্যে ১২ শতক জমিটি প্রদীপ তার স্ত্রী চুমকি কারনের নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় কিনেছেন বলে রেজিস্ট্রি বায়না করা হয়। কিন্তু বায়না অনুযায়ী এক টাকাও পাননি রত্নাবালা।

অভিযোগের বিবরণে রত্নাবালা বলেন, আমার বাবা ছিলেন প্রেমলাল প্রজাপতি। মা যুগলরানী প্রজাপতি। আমরা দুই বোন। বোনটি অল্প বয়সে মারা যায়। আমার বাবার মৃত্যুর পর হরেন্দ্র লাল দাশ নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন মা। ওই সংসারে প্রদীপসহ তিন সন্তান রয়েছে।

উত্তরাধিকার হিসেবে বাবার ১২ শতক জমি ও চার তলা ভবনটির একমাত্র মালিক আমি। কিন্তু ২০১৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর প্রদীপ দাশ ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে নেন। পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্ত্রী চুমকি কারনের নামে রেজিস্ট্রি বায়না করে নেন। এতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় ওই জমি বায়না করেছে বলে উল্লেখ করা হলেও তার একটি টাকাও দেননি প্রদীপ। ওই জমিতে প্রদীপ ৯টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, পরবর্তী সময়ে প্রদীপ পৈতৃক সূত্রে পাওয়া মুরাদপুর এলাকার চার তলা ভবনটিও দখল করে নেন। প্রদীপ তার কুকর্মের সহযোগী আলী আকবর নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে ওই বাড়িটি বর্তমানে দখলে রেখেছেন। আলী আকবর ইয়াবা মামলায় ৯ মাস জেলও খেটেছেন।

রত্নাবালা বলেন, সম্পত্তি দখল করতে প্রদীপ আমার ছেলে বিবেক রঞ্জন চৌধুরীকে সাজানো নারী নির্যাতন মামলার আসামি করেছে। নিলুফা নামে টেকনাফের এক নারীকে দিয়ে এ মামলাটি করায়। মামলায় আমার ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমার মেয়ে বেবী চৌধুরীকেও নানা লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। তাদের হামলায় বেবী চৌধুরী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও ছিলো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫