সেফটিপিনের চেইন বানিয়ে বাংলাদেশি পার্থের গিনেস রেকর্ড

আজিজুর রহমান পায়েল
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২৬

সেফটিপিন দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেইন তৈরি করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের পার্থ চন্দ্র দেব। গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাতে পেয়েছেন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতিপত্র। ভারতের শ্রী হার্শা নান এবং শ্রী নাভা নান ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল ১৭৩৩.১ মিটার দৈর্ঘ্যের চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে নাম তুলেন। তাদের রেকর্ড ভাঙার জন্য গিনেস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন পার্থ। গেল বছরের ২০ এপ্রিল আবেদন করলে জুলাই মাসের ২৩ তারিখ অনুমোদন দেয় গিনেস কর্তৃপক্ষ।
সাত হাজার ৮৮০ ফুট বা ২৪০১.৮২৯ মিটার দৈর্ঘ্যের চেইনটি তৈরি করতে ৪৫ দিন সময় লেগেছে পার্থের। এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সেফটিফিন দিয়ে সোনালি রঙের চেইনটি তৈরি করেন তিনি।। স্থানীয় শ্রী শ্রী সংকর জিও মন্দিরে এই চেইনের জরিপ কাজ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারী কলেজের প্রভাষক রাজীব কুমার আচার্য এবং ফান্দাউক পন্ডিত রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পল্লব হালদার।
চেইনটি পরিমাপ করার জন্য সার্ভেয়ার হিসেবে ছিলেন মো. তোফাজ্জল হোসেন। চেইন জরিপ কাজে শেষে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে যাবতীয় তথ্য গিনেস ওয়ার্ল্ডে পাঠানো হয়। অবশেষে পার্থের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ। তাদের পাঠানো সার্টিফিকেটে লেখা আছে ‘দ্য লংগেস্ট চেইন অফ সেফটিপিন’।
পার্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে জগদীশ চন্দ্র দেবের ছেলে। পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে স্টেশনারির ব্যবসা করছেন। সম্মতি পাওয়ার পরই লেগে পড়েন তাঁর থেকেও ব্যতিক্রম কিছু করার। একটি রেকর্ড গড়েই থেমে যেতে চান না পার্থ। নতুন পরিকল্পনা হিসেবে আবারো চেইন তৈরির নতুন কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সেটা স্টেপলার পিন দিয়ে আরেকটি চেইন তৈরি করে রেকর্ড করতে চান।
বিশ্বরেকর্ড করে কেমন লাগছে জানতে চাইলে পার্থ সাম্প্রতিক দেশকালকে, আমি দেশের পতাকাকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছি। আমি অভিভূত। আমার স্বপ্ন লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত করা। আজ আমি স্বার্থক। আমি চাই আমার এই দীর্ঘ চেইনের মতোই গোটা জাতির মেলবন্ধন দীর্ঘ হোক। সৃষ্টি হোক পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি খুব অভিভূত। পার্থের এই কাজ শুধু নাসিরনগর নয় বরং বাংলাদেশের জন্য গর্বের।