দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণে অনিয়ম: সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

আহমেদ নাসিম আনসারী
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫৩

‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ’ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্টের মিশ্রণে ফাঁকি দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন বরাদ্দ পাওয়া নির্মানাধীন বাস গৃহের এক মালিক।
মহেশপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর থেকে জানা গেছে, উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের হুদাশ্রীরামপুর গ্রামে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি বাসগৃহের জন্য সরকার ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্ধ করে। নিয়ম অনুযায়ী ১ নম্বর ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ করার কথা থাকলে, বাস্তবে তার বিপরীত হচ্ছে।
সরেজমিনে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ বরাদ্ধ পাওয়া হুদাশ্রীরামপুর গ্রামের মমিনুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় নানা অনিয়মের চিত্র । বাসগৃহ নির্মানে নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণে এরইমধ্যে দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল।
বাসগৃহ বরাদ্দ পাওয়া মমিনুর রহমান স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এ প্রকল্প বাস্তবায় কমিটির সভাপতি শফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমি গরিব মানুষ এবং আমার প্রতিবন্দি ছেলের জন্য এ ঘড়টি পেতে চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। বাসগৃহ নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নাম্বার বিহিন পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। এসময় প্রতি বস্তা সিমেন্টের সাথে ১৬ কড়া বালু মিশিয়ে দেয়াল তৈরি করা হলে পরের দিনই সেটি ধসে পরে।
মমিনুর রহমান বলেন ঘরে উঠার আগেই মেঝের পলেস্তর উঠে যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল।
এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ঘর নির্মাণে কিছু ত্রুটি হয়েছে, যা ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়ার আগেই ঠিক করা হবে।