
অস্ত্র মামলায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের। তবে ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে সাহেদ বলেন, তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে সাহেদকে এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় তোলা হয়। রায় ঘোষোণার সময় তিনি নিশ্চুপ ছিলেন এবং কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
এজলাস কক্ষ থেকে বের করে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সাহেদ বলেন, আমি ন্যায়বিচার পাইনি, হাইকোর্টে আপিল করবো।
সাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রায়ের পর বলেন, উপস্থাপিত যেসব সাক্ষীকে জেরা করেছি, একজন স্বাক্ষীও সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঢাকার এক নম্বর মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন।
মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুইটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।