
রিফাত শরীফ
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করা হবে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে রায় ঘোষণা করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, মো. রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান. মো. মুসা ওরফে মুসা বন্ড, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সায়মুন।
রায়কে কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়ায় মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেছেন, তার মেয়ে নির্দোষ, সে এই মামলা থেকে খালাস পাবে। তবে রিফাতের বাবা মিন্নির শ্বশুর আ. হালিম দুলাল শরীফ মিন্নিকে হামলার পরিকল্পনাকারী আখ্যা দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাতকে গুরুতর আহত করে। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে তারা। গুরুতর আহত রিফাত ওই দিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো পাঁচ/ ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর গত বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
এরপর ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একইসাথে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন। এছাড়াও মিন্নিসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক আট আসামি উচ্চ আদালত এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে জামিনে রয়েছে।