স্কুলছাত্র বাপ্পি হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৩৩
ছবি: সংগৃহীত
খুলনার খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পি (১৬) হত্যা মামলার রায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হলো।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. রকিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে খালিশপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
একই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে আল-আমিন, আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. নজরুল, মোমরেজের ছেলে রবিউল, নিছার ওরফে আনছার আলীর ছেলে মিলন ও আজিজুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মুজিবর হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রবিউল, মিলন ও মুজিবর হাওলাদার পলাতক রয়েছে।
মামলায় খালাস পাওয়া দুইজন হলেন হাসান ও ইব্রাহিম।
আদালতের সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় খালিশপুরের প্লাটিনাম জুটমিল স্কুল মাঠে বাপ্পি ও তার বন্ধু রাজু বসে গল্প করছিলো। ওই সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে বন্ধু রাজুকে মারতে আসে দুর্বৃত্তরা। তখন বাপ্পি ঠেকাতে গেলে দুর্বত্তরা হকিস্টিক দিয়ে বাপ্পির মাথায় আঘাত করে। এরপর বাপ্পি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই সুযোগে বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. মো. ইসমাইল শেখ ও ডা. সহদেব কুমার দাসের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেয় বাপ্পি। ওই দিন রাত ১১টা ৫মিনিটে বাপ্পি মারা যায়।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
আদালতের এপিপি এ্যাড. কাজী সাব্বির আহম্মেদ জানান, এ হত্যা মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামি রকি ও নজরুল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।