লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিদ্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ড মাথায় পড়ে ডালিয়া আক্তার (৮) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে ঢাকা পপুলার হাসপাতালের মেইন গেইটে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পতাকার স্ট্যান্ড মাথায় পড়ে সে আহত হয়।

নিহত ডালিয়া উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য টিটুর মেয়ে ও একই এলাকার উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অবহেলাকে দায়ী করছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতের বাবা টিটু ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার। দুপুরে ডালিয়া সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করছিল। এসময় ওই বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ পতাকার স্ট্যান্ডটি ভেঙ্গে ডালিয়ার মাথায় পড়লে সে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে বিদ্যালয়ের বারান্দায় রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ডালিয়াকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পপুলার হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢাকায় হাসপাতালের সামনেই ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

এদিকে স্থানীয়রা জানালেন, কয়েকবার পতাকার স্ট্যান্ডটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ এলেও তা আর সংস্কার করা হয়নি। গত ছয় মাস আগে ওই স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার সময় সাব্বির নামে এক ছাত্রের শরীরে ভেঙে পড়েছিল পতাকার স্ট্যান্ডটি। পরে ওই ছাত্রের অভিভাবক থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করলেও কমিটির অবহেলায় আজও তা সংস্কার হয়নি।

তবে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তারের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রায়পুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেএম মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, কি কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার কথাও জানান তিনি।

রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।