Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

খুচরা পর্যায়ে আলু কেজি ৩০ টাকা, ডিসিদের নজরদারির নির্দেশ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:১৯

খুচরা পর্যায়ে আলু কেজি ৩০ টাকা, ডিসিদের নজরদারির নির্দেশ

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রির বিষয়টিকে অযৌক্তিক। তাই ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা বিক্রি করতে হবে। পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা আর হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকা বিক্রি করতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়, ”দেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত আলু থেকে প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রফতানি হলেও ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ড ষ্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।

সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রয় করা যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে আলু সংরক্ষণকারীর ২ টাকা মুনাফা হয় বলে প্রতীয়মান হয়।

অন্যদিকে আড়তদারী, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেই অনুযায়ী পাইকারি মূল্য (আড়ৎ পর্যায়) ২৩ টাকা ৭৭ পয়সার সাথে মুনাফা যোগ করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দেয়া যেতে পারে।

একজন চাষীর প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। এমতাবস্থায় হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করবেন। এই মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিনপক্ষই যাতে আলু বিক্রয় করেন, এজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানানো হলো।”

সম্প্রতি খুচরা বাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে। আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বিক্রেতাদের আর পাইকারি বিক্রেতারা হিমাগার মালিকদের দুষছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫