জামিন করাতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পেশকারের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২০, ২৩:১২

মাদক মামলায় জামিন করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার নিম্ন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে কর্মরত আছেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান (হাসান) বরারব অভিযোগ করেছেন হামিদা খানম নামের ভুক্তভোগী নারী।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রামপুরা থানার ০৯ (২)২০ মামলায় চলতি বছর ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন বিপ্লব হোসেন নামে এক ব্যক্তি। ছেলে বিপ্লবের জামিনের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেন তার মা হামিদা বেগম। তবে দ্রুত জামিন করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আসামি বিপ্লবের মায়ের কাছ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ টাকা ঘুষ নেন পেশকার জালাল।
তবে আশ্বাস অনুযায়ী আসামিকে জামিন করাতে না পারায় হামিদা পেশকার জালালের কাছে সেই টাকা ফেরত চান। টাকা পরিশোধে পেশকার জালাল তিন লাখ টাকার একটি ও দুই লাখ টাকার একটি চেক দেন। এছাড়া দুই লাখ টাকা নগদ ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে ভুক্তভোগী সেই চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারেননি এবং নগদ দুই লাখ টাকাও ফেরত পাননি।
এমতাবস্থায় প্রতারণার আশ্রয়ে এ সাত লাখ টাকা আত্মসাতের আশঙ্কায় গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান ওই পেশকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকার মহানরগর দায়রা জজ বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘যেহেতু আইনজীবী ব্যতিত আদালতের কোনো কর্মচারী আসামি পক্ষে মামলা গ্রহণ, পরিচালনা, জামিন করানোসহ টাকা নিতে পারে না বিধায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চ সহকারী জালালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায় মর্জি হয়। ’
এ চিঠির একটি অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজকেও (জালাল যে আদালতের পেশকার) দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জালাল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।