বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মো. জাবেদ (১৪) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে।

আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাতের প্রথম প্রহর ২টায় ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু-আমতলী সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাবেদ কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা মো. এমদাদ হোসেনের ছেলে।

কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুদিন উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্প থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। পরে রাতের প্রথম প্রহর ২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু-আমতলী সীমান্ত দিয়ে ফিরে আসছিল। এসময় বাংলাদেশের রেজু-আমতলী সীমান্তের ৪০ নম্বর পিলারের ১০০ গজ মিয়ানমার অভ্যন্তরে স্থল মাইন বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে জাবেদ নামের ওই রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়।

তিনি আরো বলেন, পরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন রোহিঙ্গা কাঁধে বহন করে কাপড় মোড়ানো অবস্থায় একটি বস্তু আনতে দেখে বিজিবির সদস্যরা তল্লাশি চালায়। এসময় এতে একটি ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য জাবেদের লাশ কক্সবাজার মেডিকেল কলে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানান তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে না পারে সেজন্য সীমান্তে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। শনিবার এই স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওই রোহিঙ্গা কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।