ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজির বাসায় প্রবেশ নিশ্চিতের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ২১:২৪

সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজিকে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশান-২ এর ৯৫ নম্বর সড়কের বাসায় অনতিবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িটিতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, মেয়ে দুই জনকে সোমবার রাতেই ওই বাড়িতে প্রবেশ ও অবস্থান নিশ্চিত করার পর রাতেই গুলশান থানার ওসি সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারকে টেলিফোনে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবেন। এছাড়া ১ নভেম্বর পর্যন্ত ওই বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসিসহ ১ নভেম্বর দুই মেয়ে এবং ওই বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর বাড়িটি। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি- বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুল মারা যান।
মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পেশায় পাইলট ছিলেন। ভাইবোনদের মধ্যে শুধু সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুই দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৮৪ সালে তার বাবা মাকে নিয়ে গুলশানের এই বাসাতেই সংসার শুরু করেছিলেন। তাদের জন্ম এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামের এক ভারতীয় নারীকে তাদের বাবা বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন।