গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল গফুর (৪৭) নামে এক কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কারা কর্তৃপক্ষ।

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে আবদুল গফুরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেঞ্জ এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় পারিবারিক কলহের জেরে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছর বয়সী কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে আবদুল গফুর উচ্চ আদালতে আপিল করলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তা–ও খারিজ হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর রবিবার রাতে কাশিমপুর কারাগারে এ রায় কার্যকর করা হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সব আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবদুল গফুরের মরদেহ তার স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।