পুঠিয়ায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫৩

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ছোট-বড় ফার্মেসি থেকে শুরু করে হাটবাজার, পাড়া-মহল্লার মোড়ের দোকানগুলোতেও হাত বাড়ালেই মিলছে মুনিস, স্টিমুলার, ইডিগ্রা, ফ্যামেগ্রা, সানেগ্রা, ভায়াগ্রাসহ নামে-বেনামে বিভিন্ন হারবাল কোম্পানির যৌন উত্তেজক ওষুধ।
অবাধে চলছে এগুলোর কেনাবেচা। যার বেশির ভাগই অনুমোদনহীন ও নিম্নমানের।
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই যৌন উত্তেজক এসব ওষুধ বিক্রি করছেন সবাই। কখন কীভাবে সেবন করতে হবে, তাও বলে দিচ্ছেন ফার্মেসিসহ মুদিখানার দোকানিরা।
বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, হাটবাজার থেকেই এসব যৌন উত্তেজক ওষুধ প্রতিনিয়ত কিনছেন নানা বয়সের মানুষ। তারা বলছেন, খাওয়ার সাথে সাথে এসব ওষুধ খুব কার্যকর, তাই তারা কিনছেন। অথচ সঠিক চিকিৎসার বাইরে এসব ওষুধ খেয়ে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কিডনি, চোখ, হার্টের রোগের ঝুঁকিতে পড়ছে অসচেতন মানুষরা।
কেন এসব ওষুধ খাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে পৌর এলাকার একজন ক্রেতা বলেন, শরীরে একটু ক্লান্তি ভাব আসে। কখনো চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন, এমন প্রশ্নে মাহবুব ও আকবর (ছদ্মনাম) বলেন, প্রয়োজন হয়নি। আমাদের কিছুই হয় না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলেন, যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের ফলে হৃদরোগ ও কিডনির ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি কমে যায়। তাছাড়া লিভার ও নার্ভ ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কেউ যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহার করেন, তাহলে দ্রুত তা বন্ধ করা বাঞ্ছনীয়। এটা কোনোমতেই মনোরঞ্জন বা পুরুষত্ব দেখানোর জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
এলাকার সচেতন মহল মনে করে, এলাকার যত্রতত্র যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোসহ আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।