
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্যাদার (৩৬) বাঁম হাতের কব্জি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার রাতে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বরগুনার আমতলী থেকে মো. বশির চৌকিদার ও মো. সোহেল হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে আহত‘র অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে হামলার ঘটনায় দিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা শ্রমিকলীগ।
ঘটনার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাতে শ্রমিকলীগ নেতা জুয়েল প্যাদা মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা শহর থেকে টিয়াখালীর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে রজপাড়ার নাসির শিকদারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে ৪-৫ জনের একটি বাহিনী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা জুয়েলের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত শ্রমিকলীগ নেতাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ওই রাতেই তাকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়। জুয়েলের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঠায় শেবাচিম কর্তৃপক্ষ।
আহত জুয়েলের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর, কলাপাড়া ও বরগুনার আমতলী থানায় অস্ত্র, হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে আটটি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি জমির দালালি করতেন এবং জমি কেনা-বেচা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়।
এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগের নেতৃত্বে প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা শ্রমিকলীগ। ওই সময় বক্তারা শ্রমিক লীগ নেতার উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।