মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সম্রাটকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৩:১০

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ফাইল ছবি
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনের পর আদালতে তাকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন। আজ তার উপস্থিতিতে বিচারক শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সম্রাট সহযোগী মো. এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ চালাতেন সম্রাট। এভাবে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। এসব অর্থের উৎস গোপন করার জন্য সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করতেন। পাচার করা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা।
মামলায় বলা হয়, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ৩৫ বার সিঙ্গাপুরে, তিনবার মালয়েশিয়ায়, দুইবার দুবাইয়ে ও একবার হংকংয়ে গেছেন। আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন।
এদিকেসম্রাটের বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। গত বছরের ১২ নভেম্বর দুদকের করা মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়।
ওই মামলায় গত ১৮ আগস্ট আদালতে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও আত্মগোপনে যান সম্রাট। এসবের মধ্যেই তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর মধ্যেই গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে থাকা সহযোগী আরমানকেও আটক করা হয়।