
প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁঞার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
এসময় আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। শুনানি শেষে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের মামলার প্রধান আসামি আকবর। তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এই মামলায় আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন একজন গ্রেফতার আছেন।
আজ কড়া পুলিশ পাহারায় আকবরকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড মঞ্জুর হলে একইভাবে আদালত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভারত সীমান্তে আকবরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কানাইঘাট থানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানান জেলা পুলিশ সুপার। ব্রিফিং শেষে রাতেই আকবরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
সিলেট নগরীর আখালিয়া নিহারিপাড়ার বাসিন্দা রায়হানকে ১০ অক্টোবর রাতে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরের দিন ১১ অক্টোবর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁঞাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেন।