পাপুল ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২০, ১৩:১৭

কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। ফাইল ছবি
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।
অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন ও মেয়ে ওয়াফার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগে এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে।
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে আছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুল। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।