Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

‘ধর্ষিতার’ বদলে ‘ধর্ষণের শিকার’ লেখার সুপারিশ আইনে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২০, ২০:৩৯

‘ধর্ষিতার’ বদলে ‘ধর্ষণের শিকার’ লেখার সুপারিশ আইনে

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে সংসদে উত্থাপিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের রিপোর্ট দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। বিলটি যাচাই-বাছাইয়ে প্রস্তাবিত ‘ধর্ষিতা’ বা ‘ধর্ষিতা নারী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ বসানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ। এর আগে সংসদে উত্থাপিত বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে গত ৮ নভেম্বর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। 

দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় তখন আইন সংশোধনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়। পরে ৮ নভেম্বর নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই দিন সেটি বিল আকারে সংসদে তোলা হয়।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপ-ধারায় বলা হয়, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

সংশোধিত আইনের খসড়ায় ৯(১) উপ-ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এতে মূল আইনের ৯(২) ধারাসহ কয়েক জায়গায় ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

২০০০ সালের আইনের ৩২ ধারায় বলা ছিল, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেডিকেল পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে কিংবা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোনো বেসরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাবে।

বিলে অপরাধের শিকার ব্যক্তির পাশাপাশি ‘অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির’ মেডিকেল পরীক্ষা করার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ৩২ ধারার সঙ্গে ৩২(ক) শিরোনামে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে বিলে। সেখানে বলা হয়, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ধারা ৩২ এর অধীন মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়াও, উক্ত ব্যক্তির সম্মতি থাকুক বা না থাকুক, ২০১৪ সালের ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইনের বিধান অনুযায়ী তার ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫