শীতে বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ। করোনার দ্বিতীয় ধাপের প্রকোপ রোধে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত সনাক্তে দেশের ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ থাকলে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। ফলাফল পজিটিভ আসলে অথবা উপসর্গ থাকার পরও ফলাফল নেগেটিভ আসলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে।

শনিবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ টেস্ট শুরু হবে। দেশের ১০টি জেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় করোনা নির্ণয়ে প্রাথমিক এ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আরটিপিসিআর পরীক্ষাগার নেই এমন জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালগুলোতে এ পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে।

পরীক্ষার জন্য প্রথমে রোগীকে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ আসলে রোগীকে আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। নেগেটিভ আসলে পিসিআর এর মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত হোসেন জানিয়েছেন, তাদের তিনজন স্বাস্থ্য কর্মী এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হাসপাতালে ৫ শতাধিক কিট আনা হয়েছে। পাইলট প্রকল্প সফল হলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।