
আজ ৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করে।
এদিন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রয়াত জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকাপ্টারযোগে নেমে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে এক সংবর্ধনা সভায় শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন।
করোনা সংকটের কারণে দিনটি ব্যাপক ভাবে পালন না করা হলেও দিনটি উপলক্ষে শেরপুরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ও জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি সংস্থা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ, যুদ্ধকালীন সময়ের কমান্ডার গোলাম মাওলা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও একাত্তরে শহীদ হওয়া সকলের জন্য দোয়া করা হয়।
এসময় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল মোতালেবের স্মরণে ‘৭১ এ রণাঙ্গনের অগ্নিপুরুষ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেবের বড় ছেলে সাংবাদিক ও লেখক আবুল হাশিমের সম্পাদনায় প্রকাশিত এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুদ্ধকালীন সময়ের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার এডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ, সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাদল প্রমুখ।
এসময় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক-কবি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।