প্রেসক্লাবে ঘুমন্ত শিক্ষকদের পিটিয়ে তুলে দিলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৪৮

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে অবস্থানরত ঘুমন্ত শিক্ষক ও শ্রমিকদের পিটিয়ে তুলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত শিক্ষক ও শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের দাবিতে ২২ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।
সেখানে গিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো বহু সংখ্যক শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিককে। গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় শুনে কয়েকজন শিক্ষক কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলাম। আমাদের অবস্থান সরকারবিরোধী না। গত ২০-২২ বছর ধরে চাকরি করেও বেতন-ভাতা পাইনি। সরকারের কাছে দু’বেলা খাওয়ার মতো বেতনের দাবিতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়া হলো।’
ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ বিন হাকিম বলেন, ‘ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ১০-১৫ জনের মতো শিক্ষক আহত হয়েছেন। মো. রফিকুজ্জামান (৩৫) নামের এক শিক্ষক বেশি আঘাত পেয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গড়সতী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক।’
শান্তিপূর্ণভাবে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যদি আগে থেকে বলতো তাহলে আমরা উঠে যেতাম। আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা দুঃখজনক।’
শ্রম আইনের ক্ষতিপূরণের ধারা সংশোধন, আহত শ্রমিকদের সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ কয়েকটি দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডে আহত বেশ কিছু শ্রমিক। এছাড়া, বকেয়া বেতনের দাবিতে ছয়দিন ধরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তৈরি পোশাক কারখানা এ ওয়ান বিডি লিমিটেডের শ্রমিকরা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, আন্দোলনকারীরা নিজ থেকেই রাতের আধারে প্রেসক্লাব থেকে সরে গেছেন।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ‘লাঠিচার্জের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি।’