মাগুরায় মাদকের মামলায় দোষী প্রমাণিত হলেও গাছ লাগানোর শর্তে ৬ মাসের কারাদণ্ড থেকে দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে মাগুরায় ৬টি মামলায় ব্যতিক্রমী রায়ে ১৬ জনকে গাছ লাগানো, মুক্তিযুদ্ধর বই পড়াসহ বিভিন্ন ইতিবাচক কাজের আদেশ দিয়ে সংশোধনপূর্বক সমাজের মূল স্রোতে পুনর্বাসন ও সুনাগরিক হওয়ার সুযোগ দেয়া হলো।

মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের হাকিম মোহাম্মদ বুলবুল ইসলাম আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যতিক্রমী এ রায় দিয়েছেন। 

অব্যাহতি পাওয়া যুবকরা হলেন- মাগুরা সদরের ঘোড়ানাছ গ্রামের মাজেদ মোল্যার ছেলে সোহাগ (২২) ও একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আজিজার মোল্যার ছেলে টুটুল মোল্যা (২৭)।

রায়ের বিবরণে জানা গেছে, উল্লিখিত দুই যুবকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় বর্ণিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের ৬ মাসের কারাদণ্ড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিদের অপরাধের ইতিহাস না থাকায় সংশোধনপূর্বক সমাজের মূল স্রোতে পুনর্বাসন ও সুনাগরিক হওয়ার সুযোগ দিতে ১৯৬০ সালের প্রবেশন আইনের ০৫ ধারা মোতাবেক তাদের প্রত্যেককে পাঁচটি গাছ লাগানোর শর্তে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। গাছ লাগানোর পাশাপাশি একই ধরনের কিংবা অন্য কোনো অপরাধ সংগঠিত না করা, আদালত তলব  করা মাত্র সেখানে উপস্থিত হওয়া, মাদকদ্রব্য সেবন কিংবা কোনো ধরনের অপরাধ না করা, মন্দ লোকের সঙ্গ এড়িয়ে চলা, উশৃঙ্খল জীবনযাপন না করার শর্ত পূরন করবেন।

এসব শর্ত পূরণের বিষয়টি তদারকির জন্য জেলা সমাজ সেবার প্রবেশন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শর্তভঙ্গ করলে আসামিরা ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এক বছরের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ করার ক্ষেত্রে প্রবেশন কর্মকর্তা প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন।