বিজয় দিবসে রাজশাহীতে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:১০

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হতে যাচ্ছে। রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত জায়গায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর কুমারপাড়া নগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ১৪ দলের সমন্বয়ক, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভার শুরুতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভার সভাপতি রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত স্থানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ নির্মাণে দাবিতে কয়েক দিন থেকে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ ব্যাপারে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের মতামত আহ্বান করেন মেয়র।
এ সময় বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। মহাগরীর কেন্দ্রস্থল সোনাদীঘি সংলগ্ন পুরাতন সার্ভে ইনস্টিটিউটের জায়গাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য উপযুক্ত স্থান। সেখানে শহীদ মিনারের ব্যাপারে কোনো আপস নেই। এই স্থানেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হবে।
সভায় সর্বসম্মিতিক্রমে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত স্থানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেদিন রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু। এছাড়া সভা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননাকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয় সভায়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধ মীর ইকবাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রেজাউল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, বাংলাদেশ জাসদের মহানগর সভাপতি নুরুল ইসলাম হিটলার ও ওয়াকার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল করিম বাবু, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামারুল্লাহ সরকার, বাংলাদেশ জাসদের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বাদশা, মহানগর সেক্টর কামান্ডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল প্রমুখ।