Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সীমান্ত হত‌্যা শূন‌্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব: বিজিবি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪২

সীমান্ত হত‌্যা শূন‌্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব: বিজিবি

ছবি: সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, কূটনৈতিক আলোচনা ও সীমান্তবর্তী জনগণের মধ‌্যে সচেতনতা বাড়িয়ে সীমান্ত হত‌্যা শূন‌্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা দীক্ষায় ও অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করতে পারি- তাহলেই মনে করি সীমান্ত হত্যা কমে যাবে।

আজ রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় বিজিবি দিবস উপলক্ষে ঢাকার পিলখানার স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরব’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তিনি একথা বলেন।

এর আগে সকাল ৯টায় পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজিবি দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকাল ১০টায় সেখানে বসেছে মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার। করোনাভাইরাস মহামারিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এবার এই বিশেষ দরবার হচ্ছে ভার্চুয়ালি। দেশের সব প্রান্ত থেকে বিজিবি সদস্যরা ভার্চুয়ালি এ দরবারে যুক্ত হয়েছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, করোনার জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছর বিজিবি দিবস পালন করা হচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এই দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। মহামারির এই পরিস্থিতিতেও আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ইছামতি নদীর পাশের জেলেদের ১০০ নৌকা দিয়েছি।

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও পাশ্ববর্তী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে এবং আমাদের ডিজি পর্যায়ের আলোচনায়ও এই বিষয় উঠে আসে। এখন কূটনৈতিকভাবে ও আমরা, আমাদের দিক থেকে, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। এজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করেন।

তিনি বিজিবির পরবর্তী চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। বিজিবিও তাল মিলিয়ে সময় উপযোগী করে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজিবি সদস্যদের নতুন নতুন অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ করতে হবে।

দরবার শেষে অনারারি সুবেদার মেজর থেকে অনারারি সহকারী পরিচালক ও অনারারি সহকারী পরিচালক থেকে অনারারি উপপরিচালক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হবে।

এছাড়া শ্রেষ্ঠ রিক্রুট প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনকারী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলগত ও ব্যক্তিগত পুরস্কার, অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান রোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়ন ও রানারআপ ব্যাটালিয়ন এবং শ্রেষ্ঠ কোম্পানি ও বিওপি কমান্ডারদের পুরস্কার দেয়া হবে।

এ সময় মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক ইনসিগনিয়াসহ প্রশংসাপত্রও দেয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫