বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ তিনজনের রিমান্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৫৯
ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার গ্রেফতার যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুন তিন আসামির প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পুলিশ রিমান্ডের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে আসামিদের জামিন আবেদন করেন। তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করার পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আসামিদের জেলা কারাগারে নেয়া হয়।
এই তিন আসামি হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গার আনিচুর রহমান (৩২), মো. হৃদয় আহম্মেদ (২০) ও চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. সবুজ হোসেন (২০)। আনিচুর কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
এর আগে রিমান্ড শুনানির জন্য কুষ্টিয়া কারাগার থেকে বেলা ১১টায় আসামিদের আদালতে আনা হয়। এ ঘটনার পেছনে কোনো জঙ্গি বা রাজনৈতিক গোষ্টীর মদদ ও অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে গেলো শনিবার বিকেলে একই আদালতে হাজির করে আসামিদের প্রত্যেকের সাতদিন করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুমারখালী থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল হাসান।
১৭ ডিসেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যে ভাংচুর হয়। ঘটনার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ।
পরদিন চারজনকে শনাক্ত ও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাচ্চু নামে অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতার আনিছুর রহমানকে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে জেলা যুবলীগ।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ বলেছেন, দায়েরকৃত অভিযোগের সাথে আসামিরা সম্পৃক্ত নয়। এ মামলায় আসামিদের রিমান্ডের প্রয়োজন হয় না।
পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, গ্রেফতারের পর আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কয়া মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ কমিটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ পক্ষকে ফাঁসাতে তারা এই ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে বলে স্বীকার করেন।